ওয়েব ডেস্ক: দেশের সব কারাগারে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করে কারাবন্দিদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন বরগুনা জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষেই ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ভোটাধিকার প্রয়োগের দাবিতে এ চিঠি দেওয়া হয়।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে একই দাবিতে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলমের কাছে জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আরেকটি সিদ্ধান্ত নিতে আবেদন জানাচ্ছি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বাংলাদেশে বিভিন্ন কারাগারে কয়েক লাখ কয়েদি (যারা মামলার আসামি হিসেবে কারাবন্দি থাকলেও সাজা হয়নি) কারাগারে থাকবেন। কারাবন্দি বিগত দিনে ভোট প্রদানের সুযোগ পাননি। আমেরিকা, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে নির্বাচনের সময় কারাগারে থেকেও ভোট প্রদান করতে পারেন। কারাগারে নির্বাচনী বুথ করে তাদের ভোট প্রদানের সুযোগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশের কারাবন্দিরা ভোট প্রদান করতে পারেন না। যে কারণে ভোটের শতকরা হারও কমে যায়। সব ভোটাররা ভোট প্রদান করতে পারলে যোগ্য নেতৃত্ব ও গ্রহণযোগ্য প্রতিনিধি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেন।

আরও উল্লেখ করা হয়, কারাগারে বুথ করলে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দরকার হবে না। ভোটগ্রহণে ২ থেকে ৩ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েই ভোটগ্রহণ সম্ভব। বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে এক দফার একটি উপস্থাপন করছি। দেশের কল্যাণে আমার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য মনে হলে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করছি।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামল বলেন, বাংলাদেশের জেলখানাগুলোতে এখন পর্যন্ত কোনো কারাবন্দি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। আমাদের দাবি হচ্ছে, কারাগারে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে নিরাপত্তাকর্মীরও দরকার হয় না। শুধুমাত্র ব্যালটবাক্স আর কয়েকজন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার মাধ্যমেই ভোটগ্রহণ করা সম্ভব। এতে দেশের লাখ লাখ ভোটাররা বঞ্চিত হবে না। কারাবন্দি ভোটাররা ভোট প্রয়োগ করতে পারবে এবং একই সঙ্গে পছন্দের প্রার্থীও নির্বাচিত হবে। দেশে সুশাসন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক এটাই আমাদের দাবি।